সতীপীঠ বা শক্তিপীঠ নিয়ে লিখিত প্রতিবেদনের চতুর্থ পরবে এসে হাজির আমরা। শিবহীন যজ্ঞ করে ত্রিভুবনে মহাদেব শিবের গুরুত্বকে ভুলণ্ঠিত করতে চেয়েছিল দক্ষ রাজা। কিন্তু তার কন্যা অর্থাৎ শিবের পত্নী সতী তা মানতে পারেননি। তিনি যজ্ঞে উপস্থিত হন। সেখানে দক্ষ রাজা শিবকে চূড়ান্তভাবে কটূক্তি করে। স্বামী নিন্দা শুনে সহ্য করতে না পেরে আগুনে আত্মাহুতি দেন সতী। সতীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন শিব। ধ্বংস করেন দক্ষযজ্ঞ। স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে তান্ডব নৃত্য করতে থাকেন। সারা বিশ্বে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে। তখন ভগবান বিষ্ণু তার সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ কে 51 টি খন্ডে ছিন্ন করেন। সেই খণ্ডগুলো জেরে স্থানে পড়েছিল সেখানে একেকটি সতীপীঠ শক্তিপীঠ গড়ে ওঠে। এই গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে আমরা 51 সতী পীঠের কয়েকটি সম্পর্কে জেনেছি। আজ চতুর্থ পর্বে থাকছে আরও কয়েকটি সতী পীঠের ছবি ও বর্ণনা।
১৮. গন্ডকী
নেপালের পোখারার গন্ডকী নদীর তীরে মুক্তিনাথ মন্দিরের কাছে এই মন্দির। এখানে দেবীর ললাট পতিত হয়। দেবীর নাম গন্ডকী চণ্ডী। ভৈরব চক্রপাণি রূপে পূজিত হন।
১৯. নলহাটি
বীরভূম জেলার নলহাটীতে অবস্থিত নলাটেস্বরী মন্দির। অনেকে বলেন এখানে দেবীর কণ্ঠনলা পড়েছিল। কারো মতে, এখানে দেবীর বাম হাতের কনুইয়ের হাড় পড়েছিল।
২০. প্রয়াগ
উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে দেবীর হাতের আঙ্গুল পতিত হয়। দেবী এখানে ললিতা নামে পূজিতা। ভৈরবের নাম ভব।
২১. বহুলা
কেতুগ্রামের কাছে বহুলা গ্রামে দেবীর বাম হাত পতিত হয়। দেবী এখানে বহুলা নামে পরিচিত। ভৈরবের নাম ভীরুক।
২২. বারানসী
কাশীর মনিকর্নিকা ঘাটে পবিত্র গঙ্গার তীরে এই শক্তিপীঠ। এখানে দেবীর কানের দুল পতিত হয়। দেবী বিশালাক্ষী বা মনিকর্নিকা নামে অধিক পরিচিত। ভৈরবের নাম কালভৈরব।
Leave a Reply Cancel reply