পুজো শুরু মানেই মহালয়া আর মহালয়া মানেই শ্রী বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্তকণ্ঠে মন্ত্রপাঠ। বাঙালির মন থেকে যা কোনোদিনই লুপ্ত হবে না। বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে উঠেছিল যে, ১৯৭৪ সালে বাংলার সর্বকালের সেরা অভিনেতা উত্তম কুমারকে দিয়ে সেই শ্লোকপাঠ করালেও তা আপামর শ্রোতা মেনে নেয়নি।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ছাড়াও বিভিন্ন সঙ্গীতশিল্পীর সুমধুর কণ্ঠে উপভোগ্য হয়ে ওঠে আমাদের মহালয়ার ভোর। আসুন জেনে নিই কাদের জন্য বাঙালি পেল চিরকালের এই নস্ট্যালজিয়া।
রচনা ও প্রবর্তনা ― বাণী কুমার
সংগীত-পরিচালনা― পঙ্কজ কুমার মল্লিক
গ্রন্থনা ও শ্লোকপাঠ― বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
কাদের সুমধুর কণ্ঠ মাতিয়ে তোলে মহালয়ার ভোর –
১. যা চণ্ডী ― সমবেত কণ্ঠ।
২. সিংহস্থা শশিশেখরা ― সমবেত কণ্ঠ।
৩. বাজলো তোমার আলোর বেণু ― সুপ্রীতি ঘোষ।
৪. জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী ― দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়।
৫. ওগো আমার আগমনী-আলো ― শিপ্রা বসু
৬. তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা ― মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
৭. অহং রুদ্রেভির্বসুভিশ্চরা ― সমবেত কণ্ঠ।
৮. অখিল-বিমানে তব জয়-গানে ― কৃষ্ণা দাশগুপ্ত।
৯. জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ― সমবেত কণ্ঠ।
১০. শুভ্র শঙ্খ-রবে ― শ্যামল মিত্র, অসীমা ভট্টাচার্য, আরতি মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্য।
১১. জটাজুটসমাযুক্তামর্দ্ধেন্দুকৃতশেখরাম ― সমবেত কণ্ঠ।
১২. নমো চণ্ডী, নমো চণ্ডী ― বিমলভূষণ।
১৩. মাগো তব বিনে সঙ্গীত প্রেম-ললিত ― সুমিত্রা সেন।
১৪. বিমানে বিমানে আলোকের গানে ― সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
১৫. জয় জয় জপ্যজয়ে ― সমবেত কণ্ঠ।
১৬. হে চিন্ময়ী ― তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৭. অমল-কিরণে ত্রিভুবন-মনোহারিণী ― প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮. জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ― পঙ্কজকুমার মল্লিক ও অন্যান্য।
১৯. শান্তি দিলে ভরি ― উৎপলা সেন।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণের জীবনাবসান হয়েছে অনেককাল হল। কিন্তু তাঁর কণ্ঠ ছাড়া মহালয়ার সকাল এখনও ভাবা যায় না। আর ভোলা যায় কালজয়ী সব শিল্পীর কালজয়ী এসব আগমনীর গান।
Leave a Reply Cancel reply